বৈদিক সভ্যতা

৫১. শূদ্র কাদের বলা হত?
উঃ পরাজিত আনার্যরা আর্য সমাজে বাস করে উচ্চ তিন বর্ণের সেবা করত তারাই শূদ্র নামে পরিচিত।

৫২. আর্য সমাজে চতুরাশ্রম প্রথার উদ্ভব কখন হয়?
উঃ ঋকবৈদিক যুগের শেষ পর্বে।

৫৩. চতুরাশ্রম কি?
উঃ প্রত্যেক আর্য সন্তানের জীবন চারটি স্তরে বিভক্ত ছিল। যথা ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস।
এই চারটি স্তর চতুরাশ্রম নামে পরিচিত।

৫৪. ব্রহ্মচর্য :- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য শিশুকে উপনয়নের পর ব্রহ্মচর্য পালন ও শিক্ষা লাভের জন্য গুরুগৃহে যেতে হত।
গার্হস্থ্য :- যৌবনে বিবাহ করে গৃহস্থের জীবন যাপন ও সাংসারিক দায়িত্ব পালন করতে হত।
বানপ্রস্থ :- পৌর অবস্থায় সংসার ত্যাগ করে বনে গিয়ে বানপ্রস্থ অবলম্বন করতে হত।
সন্ন্যাস :- এই পর্যায়ে সংসারের সকল বন্ধন ছিন্ন করে মোক্ষলাভের চেষ্টা করতে হত।

৫৫. ঋক বৈদিক যুগে কোন প্রথা প্রচলিত ছিল?
উঃ পণ প্রথা।

৫৬. ঋক বৈদিক যুগে নারীরা কোন কোন কাজে অংশ নিতেন?
উঃ বৈদিক মন্ত্র রচনা করতেন, অধ্যাপনা করতেন, প্রকাশ্য সভায় তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হতেন।

৫৭. ঋক বৈদিক যুগে কোন নারীরা উচ্চতর স্তরে পৌঁছেছিলেন?
উঃ ঘোষা, আপালা, বিশ্ববারা ও লোপামুদ্রা।

৫৮. কোন কোন প্রথা আর্য সমাজে প্রচলিত ছিল না?
উঃ পর্দা প্রথা, সতীদাহ প্রথা ও বাল্যবিবাহ।

৫৯. ঋক বৈদিক সভ্যতা কেমন সভ্যতা ছিল?
উঃ গ্রামীণ সভ্যতা।

৬০. আর্যদের প্রধান বৃত্তি কি ছিল?
উঃ কৃষি।

৬১. জীবিকা হিসেবে কৃষির পরে স্থান ছিল __?
উঃ পশুপালন।

৬২. বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ এর জন্য কোন মাধ্যম তখনও প্রচলিত হয়নি?
উঃ মুদ্রা।

৬৩. কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য চলতো?
উঃ বিনিময় প্রথা।

৬৪. বিনিময় প্রথার মাধ্যম কি ছিল?
উঃ গরু।

৬৫. ঋক বৈদিক যুগের স্বর্ণ মুদ্রা গুলি কি ছিল?
উঃ মনা ও নিস্ক।

৬৬. ঋক বৈদিক যুগে লাঙলের দ্বারা জমি চাষ করা হতো এই লাঙলের নাম কি?
উঃ শীর।

৬৭. আর্যদের প্রধান জীবিকা কি ছিল?
উঃ কৃষি ও পশুপালন।

৬৮. যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে কোন কোন মাধ্যম ব্যবহার করা হত?
উঃ ঘোড়ায় টানা রথ, ষাড়ে টানা চার চাকা বিশিষ্ট গাড়ি এবং নৌকা।

৬৯. ঋকবেদের ‘শত অনিত্র’ কথাটির অর্থ কি?
উঃ শতদ্বার বিশিষ্ট নৌকা।

৭০. ঋক বৈদিক যুগে আর্যদের প্রধান দেবতা কে ছিলেন?
উঃ ইন্দ্র।

৭১. পুরন্দর কাকে বলা হয়েছে এর অর্থ কি?
উঃ দেবরাজ ইন্দ্র কে। অর্থ দুর্গ ধ্বংসকারী।

৭২. ঋক বৈদিক যুগের গণপ্রতিনিধি মূলক সংস্থা ছিল সভা ও সমিতি।
সভা :-
বয়োজ্যেষ্ঠ ও বর্ষীয়ান ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান।
সভা গ্রাম পরিষদ।

সমিতি :- সমিতি ছিল প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান।
সমিতি জন পরিষদ।

৭৩. ষড়দর্শন কয়টি ও কি কি?
উঃ ষড়দর্শন বা ছয়টি দর্শন হল– সাংখ্য, যোগ, ন্যায়, বৈশেষিক, পূর্ব মীমাংসা ও উত্তর মীমাংসা।

৭৪. ঋক বৈদিক যুগের বর্ণ ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য কি ছিল?
উঃ বর্ণব্যবস্থা ছিল কর্মভিত্তিক জন্মভিত্তিক নয়।

৭৫. ঋকবেদে কোন কোন বাদ্যযন্ত্রের উল্লেখ করা আছে?
উঃ বীনা, দুন্দুভি, বাঁশি, মৃদঙ্গ প্রভৃতি বাদ্যযন্ত্র।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment