২৬. বেদাঙ্গের অপর নাম কি?
উঃ সূত্র সাহিত্য।
২৭. সূত্র সাহিত্যের কয়টি অংশ ও কি কি?
উঃ দুটি। বেদাঙ্গ ও ষড়দর্শন।
২৮. বেদাঙ্গ কাকে বলে?
উঃ বেদ পাঠের জন্য যে ছয়টি বিদ্যার প্রয়োজন তাকে বলে বেদাঙ্গ। ছয়টি বিদ্যা যথা শিক্ষা, ছন্দ, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, জ্যোতিষ ও কল্প।
২৯. বৈদিক সাহিত্য কাকে বলে?
উঃ বেদ ও বেদাঙ্গ মিলে যে সাহিত্য তাকেই বলে বৈদিক সাহিত্য।
৩০. পরবর্তী বৈদিক যুগের ইতিহাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
উঃ বৈদিক সাহিত্য।
৩১. ঋক বৈদিক যুগের সময়কাল কত?
উঃ মোটামুটি ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত।
৩২. ঋকবৈদিক যুগে রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি কি ছিল?
উঃ পরিবার।
৩৩. পরিবার গুলি কেমন ছিল?
উঃ পিতৃতান্ত্রিক ও একান্নবর্তী।
৩৪. পরিবারকে কি বলা হত?
উঃ কুল।
৩৫. পরিবারের প্রধান পুরুষ সদস্যকে কি বলা হত?
উঃ গৃহপতি বা কুলপ।
৩৬. ঋকবৈদিক যুগে রাজাকে কি নামে ডাকা হত?
উঃ রাজন।
৩৭. রাজারা কোন কোন উপাধি ধারণ করতেন?
উঃ রাজারা সম্রাট, একরাট, বিরাট, স্বরাট, ভোজ, সার্বভৌম, বিশ্বজনীন প্রভৃতি উপাধি ধারণ করতেন।
৩৮. রাজার প্রধান দায়িত্ব কি ছিল?
উঃ বহিঃশত্রুর আক্রমণ এবং প্রজাদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করা।
৩৯. রাজাকে কোন দুটি পরিষদের মত নিয়ে চলতে হত?
উঃ সভা ও সমিতি।
৪০. রাজা কোন অনিয়মিত কর টি পেতেন?
উঃ বলি নামক কর।
৪১. রথমুষল কি?
উঃ একপ্রকার অস্ত্র।
৪২. পরচরিষ্ণু কি?
উঃ ছুটন্ত রথ।
৪৩. উগ্র কাদের বলা হত?
উঃ পুলিশ কে।
৪৪. এই যুগের প্রভাবশালী পুরোহিত কারা ছিলেন?
উঃ বৈশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্র।
৪৫. সেনাবাহিনীতে কটি অঙ্গ ছিল?
উঃ পদাতিক, রথারোহী ও অশ্বারোহী।
৪৬. সেনাবাহিনীতে যুদ্ধাস্ত্র গুলি কি ছিল?
উঃ তীর ধনুক, বর্শা, তরবারি, কুঠার বর্ম ও শিরস্ত্রাণ।
৪৭. ঋকবৈদিক যুগে সমাজ কয়টি ভাগে বিভক্ত ছিল ও কি কি?
উঃ চারটি ভাগে বিভক্ত ছিল যথা ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ ও শূদ্র।
৪৮. ব্রাহ্মণ বলে পরিচিত ছিলেন কারা?
উঃ যাঁরা ঈশ্বর উপাসনা যাগযজ্ঞ এবং অধ্যয়ন-অধ্যাপনা করতেন তারা ব্রাহ্মণ বলে পরিচিত ছিলেন।
৪৯. ক্ষত্রিয় কারা ছিলেন?
উঃ রাজকার্য, রাজ্যশাসন ও যুদ্ধবিদ্যায় পারঙ্গম ব্যক্তিগণ ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত ছিলেন।
৫০. বৈশ কাদের বলা হত?
উঃ কৃষিকার্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যে রত ও পারদর্শী ব্যক্তিগণ বৈশ্য নামে পরিচিত ছিলেন।