১৮৯২ খ্রিষ্টাব্দে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল আইন
• এই আইন বলে গভর্নর জেনারেলের আইন পরিষদে সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১৬ জন করা হয়। এই সদস্য গণ সেক্রেটারি অফ স্টেট এর অনুমোদন ক্রমে মনোনীত হতে পারতেন।
• আইন পরিষদের ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ৬ জন সরকারি সদস্য ৫ জন মনোনীত বেসরকারি সদস্য এবং ৫ জন নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।
• এই আইনের আওতায় সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন ও বাজেটের উপর আলোচনার অধিকার দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হয়নি।
• নন অফিসিয়াল সদস্যদের এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের পরক্ষণ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল আইন বা মরলে মিন্টো সংস্কার
• এই আইনের দুটি অংশ (এক) কার্যনিবাহক পরিষদ ও (দুই) আইন পরিষদ।
• কেন্দ্রে অর্থাৎ বড়লাটের কার্যনির্বাহক পরিষদে একজন ভারতীয় প্রতিনিধি গ্রহণ করা হয়। সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ বড়লাটের কার্যনির্বাহক পরিষদের প্রথম আইন সদস্য রূপে নিযুক্ত হন।
• বোম্বাই মাদ্রাজে বাংলায় গভর্নরের কার্জনের বাহক পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ২ থেকে ৪ করা হয়।
• কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৬ থেকে ৬০ করা হয়।
• প্রাদেশিক আইন পরিষদ গুলির সদস্য সংখ্যা ৩০ থেকে ৫০ এর মধ্যে করা হয়।
• আইন পরিষদের সদস্যদের সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিযার সুচনা হয়।
• উভয় স্তরে পরিষদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়।
• নন অফিসিয়াল সদস্যদের পরোক্ষ নির্বাচনের দ্বারা নির্বাচন করা হয়।
• গভর্নর জেনারেলের কাউন্সিলে বেসরকারি সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়।
• কাউন্সিলের অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা,বাজেটের খসড়া উত্থাপন,সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন ও তা ভোটের মাধ্যমে অনুমোদন করার অধিকার প্রদান করা হয়। তবে দেশীয় রাজ্য,সামরিক বিভাগ ও বৈদেশিক সম্পর্ক প্রভৃতি বিষয়ে কোনো প্রস্তাব আনার ক্ষমতা আইনসভার ছিল না।
• মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।