১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট
• ভারতের ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে।
• ভারতের শাসনভার ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়ার হাতে প্রদান করা হয়।
• রানীর প্রতিনিধি হিসেবে ভারতের গভর্নর জেনারেল প্রত্যক্ষভাবে এদেশের শাসন অধিকার পায়।
• ভারতের গভর্নর জেনারেল কে “ভাইসরয়” পদে নামাঙ্কিত করা হয়। ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং।
• ভারতে শাসনের জন্য একজন ভারত সচিব নিযুক্ত হন।তিনি ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের একজন সদস্য হবেন এবং তাঁর পদের নাম হবে “সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর ইন্ডিয়া “।
• ভারত সচিব কে সহায়তা করার জন্য ১৫ জন সদস্য বিশিষ্ট ইন্ডিয়া কাউন্সিল গঠিত হয়।
• ভাইসরয় তার রিপোর্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর ইন্ডিয়া নির্মিত টেলিগ্রাফ লাইন এর মাধ্যমে ভারত সচিবের কাছে পাঠাবেন।
• ভারত সচিব ইংল্যান্ড থেকে ভারতের শাসন পরিচালনা করবেন।
• বোর্ড অফ কন্ট্রোল ও কোর্ট অফ ডাইরেক্টরস এর সকল কর্তৃত্ব ক্ষমতা বিলুপ্ত হয়।
• সেক্রেটারি অফ স্টেট কাউন্সিলের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৪ জন সদস্য ব্রিটিশ রাজের দ্বারা মনোনীত হবেন এবং ৭ জন সদস্য বোর্ড অফ ডাইরেক্টরস এর মধ্যে থেকে নির্বাচিত হবেন।
১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট
• ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল আইন বোম্বে ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি তে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করে।
• বিভিন্ন প্রদেশে আইন পরিষদ বা বিধান পরিষদ প্রতিষ্ঠা হয়।
• লর্ড ক্যানিং পোর্টফোলিও ব্যবস্থা চালু করেছিলেন,যেখানে কাউন্সিলের সদস্যদের সরকারের এক বা একাধিক বিভাগের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
• ভাইসরয় কে কাউন্সিল ও বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে যেকোনো আদেশ জারি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
• ভাইসরয়ের কাউন্সিলের নাম হয় ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল।
• ভাইসরয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে একজন পঞ্চম সদস্য যোগ করা হয়। তিনি হলেন একজন জুরিস্ট।
• এই আইনের মাধ্যমে অবিভক্ত ভারতে প্রতিনিধিত্ব মূলক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পথ প্রশস্ত হয়।