১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চার্টার অ্যাক্ট
• ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চার্টার আইন দ্বারা কোম্পানির বাণিজ্যিক সুবিধা বা বাণিজ্যের মেয়াদ ২০ বছর বাড়ানো হয়।
• বোর্ড অফ কন্ট্রোলের সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে কমিয়ে ৫ জন করা হয়।এই সকল সদস্যদের ভবিষ্যৎ বেতন ভারতের রাজস্ব থেকে নিশ্চিত করা হয়।
• গভর্নর জেনারেল কাউন্সিলে কমান্ডার ইন চিফ এর সদস্যপদ খারিজ হয়।
• বোম্বাই ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির উপর গভর্নর জেনারেলের কর্তৃত্ব আরও বাড়ানো হয়।
১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে চার্টার আইন
• কোম্পানি আগামী ২০ বছরের জন্য ভারতে শাসনাধিকার পায় ।
• ভারতে একচেটিয়া ব্রিটিশ বাণিজ্যের অবসান হয় শুধুমাত্র চীনের সাথে বাণিজ্য ও ভারতের সাথে চা বাণিজ্যে কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখা হয়েছিল।।
• ভারতে শিক্ষা বিস্তারের জন্য কোম্পানির তরফ থেকে বাৎসরিক ১ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
• এই আইনে ভারতীয় সাহিত্যের পুনরুজ্জীবন এবং বিজ্ঞানের প্রসারের জন্য আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
• খ্রিস্টান মিশনারীরা ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার লাভ করে।
• ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার আইনে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণের সরকারি স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
• কোম্পানির কর্মচারীদের চাকরিতে যোগদানের পূর্বে ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
• ভারতের গির্জার বিশপদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় ভারতীয় রাজস্ব থেকে খরচের নির্দেশ দেওয়া হয়।
• ভারতের সকল অঞ্চল ও রাজস্বের উপর ব্রিটিশ রাজের সার্বভৌমতা দাবি করা হয়।
• বোর্ড অফ কন্ট্রোলের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো হয়।বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া গভর্নর জেনারেল, গভর্নর ও প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করা যাবে না।
• এই আইনে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রকে কোম্পানির রাজ্যের সার্বভৌম শক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।