নমস্কার বন্ধুরা, বাংলা জিকে বুক ওয়েবসাইটে তোমাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আজকের পর্বে আপনাদের জন্য রইলো শের শাহ সুরি সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরের একটি সংকলন।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রকম চাকরির পরীক্ষা গুলোতে এই পোস্টটি আপনাদের বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
তাই আর দেরি না করে শুরু করা যাক আজকের আলোচনা……
প্রশ্ন উত্তরে শের শাহ সূরি
১. শেরশাহের বাল্যকালের নাম কি ছিল?
উঃ ফরিদ খান।
২. শের শাহ কত খ্রিস্টাব্দে ও কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উঃ ১৪৭২ খ্রিস্টাব্দে বিহারের সাসারামে।
৩. তিনি কোন বংশীয় ছিলেন?
উঃ শূর বংশীয় আফগান।
৪. তার পিতা কে ছিলেন?
উঃ তার পিতা হাসান খাঁ বিহারের অন্তর্গত সাসারামের জায়গিরদার ছিলেন।
৫. তিনি কার অধীনে চাকরি করতেন?
উঃ বিহারের সুলতান বহর খাঁ লোহানির অধীনে।
৬. তিনি কার অভিভাবক হিসেবে নিযুক্ত হন?
উঃ বিহারের সুলতান বহর খাঁ লোহানির মৃত্যুর পর তাঁর নাবালক পুত্র জালাল খাঁ-র অভিভাবক নিযুক্ত হন।
৭. তিনি কাকে বিবাহ করেছিলেন?
উঃ লাড মালিকাকে।
৮. তিনি কোন দূর্গটি নিজ অধিকার ভুক্ত করেন?
উঃ চুনার দূর্গ।
৯. তিনি কিভাবে বিহারের স্বাধীন নরপতি তে পরিণত হন?
উঃ ১৫৩৪ খ্রিস্টাব্দে জালাল খাঁ বিহারের আমীর ওমরাহ এবং বাংলার সুলতান মাহমুদ শাহ-এর সম্মিলিত বাহিনীকে তিনি সুরজগড়ের যুদ্ধে পরাজিত করে বিহারের স্বাধীন নরপতিতে পরিণত হন।
১০. কোন শাসক গ্র্যান্ড ট্রাক রোড নির্মাণ করেছিলেন?
উঃ শের শাহ সুরি
১১. শেরশাহের প্রচলন করা স্বর্ণ মুদ্রার নাম কি ছিল?
উঃ আশরফি
১২. ‘আকবরের পথপ্রদর্শক’ বলা হয়?
উঃ শেরশাহ সুরিকে
১৩. শেরশাহের মৃত্যু ঘটে কোন দুর্গে?
উঃ কালিঞ্জর দুর্গে
১৪. কাবুলিয়ত ও পাট্টা কে প্রচলন করেন?
উঃ শেরশাহ সুরি
১৫. ঘোড়ার পিঠে ডাকব্যবস্থা কে চালু করেন?
উঃ শেরশাহ সুরি
১৬. শেরশাহের হিন্দু সেনাপতির নাম কি?
উঃ ব্রম্ভজিৎ গৌড়
১৭. শেরশাহের সমাধিস্থল কোথায় অবিস্থিত?
উঃ বিহারের সাসারাম
১৮. সুরজগড়ের যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়?
উঃ শের খাঁ ও মামুদ শাহ
১৯. কত খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলার রাজধানী গৌড় অবরোধ করেন?
উঃ ১৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে।
২০. কত খ্রিস্টাব্দে তিনি গৌড় দখল করেন?
উঃ ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দে।
২১. কোন যুদ্ধে হুমায়ুন শের খাঁ-র হাতে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হয়?
উঃ ১৫৩৯ খ্রিস্টাব্দে চৌসার যুদ্ধে।
২২. শের খাঁ কোন উপাধি ধারণ করেন?
উঃ শের শাহ।
২৩. কোন যুদ্ধে তিনি হুমায়ুন কে পরাজিত করে দিল্লি সিংহাসনে বসেন?
উঃ ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে বিলগ্রাম বা কনৌজের যুদ্ধে।
২৪. তিনি কোন কোন স্থানের উপর নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন?
উঃ পাঞ্জাব, সিন্ধু, মুলতান, মালব রাজ্য, গোয়ালিয়র, রণথম্বোর ও মাড়োয়ার দখল করে আজমির থেকে আবু পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভূ-ভাগের উপর নিজ আধিপত্য বিস্তার করেন।
২৫. কত খ্রিস্টাব্দে তার মৃত্যু হয়?
উঃ ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে ২২শে মে বুন্দেলখণ্ডের কালিঞ্জোর দুর্গ অবরোধ কালে এক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
২৬. তার মৃত্যু কালে তার সাম্রাজ্য কতদূর বিস্তৃত ছিল?
উঃ মৃত্যুকালে তার সাম্রাজ্য পশ্চিমে সিন্ধুনদ, উত্তরে হিমালয়, পূর্বে আসাম এবং দক্ষিণে বিন্ধ পর্বত পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
২৭. সূরি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উঃ শেরশাহ সূরি।
২৮. কতদিন তিনি বিহারের শাসক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন?
উঃ ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।
২৯. কোন বছর তিনি সার্বভৌম শাসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন?
উঃ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সাম্রাজ্য কে পরাজিত করার পর।
৩০. শেরশাহ সূরি কে “ওস্তাদ-ই-বাদশাহ” উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উঃ শেরশাহ সূরি-র চিরশত্রু হুমায়ুন।
৩১. শের কথার অর্থ কি?
উঃ সিংহ বা বাঘ।
৩২. শের কথাটি কোন শব্দ থেকে এসেছে?
উঃ ফারসি শব্দ থেকে।
৩৩. শেরশাহের বাংলা আক্রমণের সময় বাংলার সালতানাত কোন রাজবংশ শাসন করত?
উঃ হোসেন শাহী রাজবংশ।
৩৪. কত খ্রিস্টাব্দে তিনি লাহোর দখল করেন?
উঃ ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে।
৩৫. শেরশাহ সূরি-র উত্তরসূরী কে ছিলেন?
উঃ তার পুত্র ইসলাম শাহ।
৩৬. শের শাহ সূরি-র সমাধি কে নির্মাণ করেন?
উঃ মীর মুহাম্মদ আলী ওয়াল খান।
** (কৃত্রিম হদের মাঝখানে শেরশাহের সমাধি নির্মিত হওয়ায় এটি ভারতের দ্বিতীয় তাজমহল হিসেবেও পরিচিতি। শের শাহের সমাধি লাল বেলে পাথর দিয়ে তৈরি)
৩৭. দিল্লির সেলিমগড় দুর্গটি কে নির্মাণ করেন?
উঃ শের শাহ সূরি-র পুত্র সেলিম শাহ সূরি।
৩৮. মধ্য এশিয়া ও ভারতকে সংযুক্তকারী গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড টি কে তৈরি করেছিলেন?
উঃ শেরশাহ ।
৩৯. শেরশাহ সূরি কে শেরখান উপাধি দেন কে?
উঃ বাঘ হত্যা করার সাহস ও বীরত্বের জন্য বিহারের গভর্নর বাহার খান তাঁকে শেরখান উপাধি দিয়েছিলেন।
৪০. শেরশাহ সূরি-র আসল নাম কি?
উঃ ফরিদ খাঁ।
৪১. কোন যুদ্ধ শেরশাহকে সূরি রাজবংশ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিল?
উঃ চৌসার যুদ্ধ।
৪২. মধ্যযুগীয় ভারতে রুপি নামক মুদ্রা কে চালু করেন?
উঃ শের শাহ।
**(শের শাহের রুপি ছিল রৌপ মুদ্রা)
৪৩. শেরশাহের হিন্দু সেনাপতির নাম কি?
উঃ ব্রহ্মজিৎ গৌড়।
৪৪. শের শাহের সময়ে বাংলার রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ গৌড়।
৪৫. এটি কোন ঐতিহাসিক এর উক্তি “সুলতানি ও পারসিক শাসন নীতির সমন্বয়ে শের শাহ তাঁর শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলেন”..
উঃ ঐতিহাসিক পার্সিভাল স্পিয়ার।
৪৬. ” হিন্দু ও মুসলিম শাসন পদ্ধতি এবং হিন্দু ও মুসলিম প্রজাবর্গের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাই ছিল তার শাসন ব্যবস্থার মূলনীতি”… কোন ঐতিহাসিক এর উক্তি?
উঃ ঐতিহাসিক কিন।
৪৭. শেরশাহের কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থার শীর্ষে কে ছিলেন?
উঃ স্বয়ং সম্রাট।
৪৮. শাসন কার্যে কারা শেরশাহকে সাহায্য করতেন?
উঃ তাঁকে সাহায্য করার জন্য চারজন মন্ত্রী ছিলেন যথা…”দেওয়ান-ই-উজিরাৎ” “দেওয়ান-ই-আর্জ” “দেওয়ান-ই-রিসালাৎ” ও “দেওয়ান-ই-ইনসা”। এই চারজন মন্ত্রী ছাড়াও “দেওয়ান-ই-কাজী” বা প্রধান বিচারপতি ও “দেওয়ান-ই-বারিদ” বা গুপ্ত বিভাগের প্রধান ছিলেন।
৪৯. শেরশাহ তার সাম্রাজ্য কে কতগুলি সরকারে বিভক্ত করেছিলেন? সরকারের প্রধান শাসকদের কি বলা হত? ও তাঁদের কাজ কি ছিল?
উঃ শের শাহ শাসন কার্যের সুবিধার জন্য সমগ্র সাম্রাজ্যকে ৪৭ টি “সরকার” এ বিভক্ত করেছিলেন।
“সরকার”-এর শাসনভার যার হাতে থাকতো তাকে বলা হত “শিকদার-ই-শিকদারান”। তিনি ছিলেন সামরিক শাসনকর্তা। যে বেসামরিক প্রধান কর্মচারী তাঁকে সাহায্য করতেন তাঁকে বলা হত “মুনসিফ-ই-মুনশিফান”।
“শিকদার-ই-শিকদারান” এর দায়িত্ব ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও বিদ্রোহ দমন করা।
“মুনসিফ-ই-মুনশিফান”-এর দেওয়ানি ও জমি জরিপ সংক্রান্ত মামলার দেখাশোনা করা।
৫০. শের শাহের রাজত্বে পরগনার প্রধান কর্মচারী কারা ছিলেন? ও তাঁদের কাজ কি ছিল?
উঃ শের শাহের রাজত্বকালে পরগনার শাসন পরিচালনার জন্য প্রধান রাজকর্মচারীরা ছিলেন শিকদার, মুনসেফ, কানুনগো, আমিন এবং করকুন অথবা করণিক।
শিকদার ছিলেন পরগনার সামরিক অধিকর্তা। তাঁর কাজ ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং রাজস্ব আদায়ের সাহায্য করা।
মুনসেফ রাজস্ব আদায়, বিচার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা করতেন।
আমিন এর কাজ ছিল জমি জরিপ করা।
কানুনগো জমি জরিপ ও রাজস্বের হিসাব রাখতেন।
করকুন ছিলেন করণিক।
**( কতগুলি গ্রাম নিয়ে তৈরি হতো পরগনা। গ্রামগুলি ছিল স্বশাসিত এবং শাসন ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর। গ্রামের শাসনভার ন্যস্ত ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওপর।)
৫১. শের শাহের রাজস্ব নীতি…..
উঃ মধ্যযুগের শাসকদের মধ্যে শেরশাহই ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সংগঠনে বিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। সরকারের আয় বৃদ্ধি ও জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি এক সুষ্ঠু রাজস্ব ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। জমির উৎপাদিকা শক্তি অনুসারে জমিকে তিনি ভালো মাঝারি ও মন্দ এই তিন ভাগে ভাগ করে উৎপাদিত ফসলের গড়ের এক-তৃতীয়াংশ রাজস্ব হিসেবে ধার্য করেন। এই রাজস্ব শস্য বা নগদ অর্থে দেওয়া যেত। তিনি সাম্রাজ্যের সকল জমি জরিপ করে জমির সীমা ও নির্ধারণ করেন। চৌধুরী, মুকাদ্দাম আমিন প্রমুখ কর্মচারীরা কর আদায় করতেন। ভূমি রাজস্ব ছাড়া প্রত্যেক উৎপাদককে আরো দুটি কর দিতে হতো.. যথা জমি জরিপকারীর প্রাপ্ত অর্থ হিসেবে “জবিবানা” এবং কর সংগ্রাহকের প্রাপ্য বাবদ হিসেবে “মহসিলানা”। দুর্ভিক্ষ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় অনুদানের জন্য শেরশাহ বিঘা প্রতি আড়াই সের শস্য আদায় করতেন।
কবুলিয়ত ও পাট্টা :- কবুলিয়ত ও পাট্টা প্রবর্তন করেন শেরশাহ। তিনি রায়তওয়ারী বন্দোবস্ত প্রচলন করে ভূমি রাজস্ব আদায়ের ব্যাপারে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি রাষ্ট্রের সম্পর্ক স্থাপন করেন। এজন্য কৃষককে “কবুলিয়ত” নামে একটি দলিল সরকার কে দিতে হতো। যাতে সে তার জমির পরিমাণ উল্লেখ করে নির্দিষ্ট খাজনা আদায় দেওয়ার অঙ্গীকার করত। এর বিনিময়ে রাষ্ট্র তাঁর স্বত্বকে স্বীকার করে “পাট্টা” নামক দলিল দিত। “পাট্টা” ছিল কৃষকের অধিকার সমূহের গ্যারান্টি।
৫২. শেরশাহ প্রবর্তিত তাম্র মুদ্রার নাম কি?
উঃ “দাম”।
৫৩. শের শাহের বিচারব্যবস্থা :- সম্রাট ছিলেন প্রধান বিচারক। তাঁর বিচার ব্যবস্থা ছিল কঠোর ও পক্ষপাতহীন। অপরাধী বলে প্রমাণিত হলে ধনী-নির্ধন, পদস্থ কর্মচারী এমনকি তাঁর নিকট আত্মীয়রাও দন্ড থেকে অব্যাহতি পেতেন না। প্রত্যেক পরগনায় দেওয়ানি বিচারের ভার ছিল “আমিন”-এর উপর। ফৌজদারী বিচার পরিচালনা করত “কাজি” ও “মির আদল”। কয়েকটি পরগনার ওপর একজন করে “মুনসেফ-ই-মুনসেফান” ছিল এবং তার উপর দেওয়ানি বিচারের দায়িত্ব ছিল। ফৌজদারি বিচারের ভারপ্রাপ্ত ছিলেন “কাজি-ই-কাজাতান” বা প্রধান কাজী। প্রতি বুধবার সম্রাট নিজে সর্বোচ্চ আপিলের বিচার করতেন।
৫৪. শেরশাহ তার সেনাবাহিনীতে কোন কোন সংস্কারগুলি প্রবর্তন করেছিলেন?
উঃ শেরশাহের সেনাবাহিনী পদাতিক অশ্বারোহী ও গোলন্দাজ বাহিনী নিয়ে গঠিত ছিল। আলাউদ্দিন খলজির মত তিনি ও সেনাবাহিনীতে “দাগ” ও “হুলিয়া” প্রথা চালু করেন এবং অশ্ব চিহ্নিতকরণ-এর ব্যবস্থা করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে জায়গীর দানের পরিবর্তে বেতন দানের ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সামরিক কর্মচারীদের তিনি দু’বছর অন্তর বদলির ব্যবস্থা করেন।
৫৫. যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য শেরশাহ কোন কোন রাস্তা গুলি নির্মাণ করেছিলেন?
উঃ শেরশাহের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কীর্তি হলো গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড নির্মাণ। যেটি পূর্ববঙ্গের সোনারগাঁও থেকে সিন্ধু উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি প্রায় ১৪০০ মাইল দীর্ঘ। এছাড়া তিনি আগ্রা থেকে বুরহানপুর, আগ্রা থেকে যোধপুর এবং লাহোর থেকে মুলতান পর্যন্ত রাস্তাও নির্মাণ করেন।
৫৬. পথিকদের সুবিধার জন্য তিনি কোন কোন কাজ গুলি করেছিলেন?
উঃ তিনি পথের ধারে বৃক্ষরোপণ কূপ খনন ও পান্থশালা বা সরাইখানা নির্মাণ করেছিলেন।
( তিনি মোট ১৭০০ টি সরাইখানা নির্মাণ করেন এবং সেখানে খাদ্য ও বিশ্রামের ব্যবস্থা ছিল প্রশংসনীয়। ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রসারে এই সরাইখানা গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করেছিল। বণিকরা এই সরাইখানায় মালপত্র বিনিময় করতো এবং এগুলিকে কেন্দ্র করে বাজার ও শহর গড়ে উঠেছিল। এই সরাইখানা গুলি সংবাদ আদান-প্রদানের কেন্দ্র ছিল)
৫৭. সর্বপ্রথম ঘোড়ার পিঠে ডাক চলাচলের ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন কে?
উঃ শের শাহ।
৫৮. “দারোগা-ই-চৌকি” কে ছিলেন?
উঃ সরাইখানা গুলি ডাক চৌকি হিসেবে ব্যবহৃত হতো, “দারোগা-ই-চৌকি” নামক উচ্চপদস্থ কর্মচারী এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত ছিলেন।
৫৯. “রোটাসগড় দুর্গ” কে নির্মাণ করেছিলেন?
উঃ শের শাহ।
৬০. “রোটাসগড় দুর্গ” কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উঃ ঝিলাম নদীর তীরে।
৬১. শেরশাহ নির্মিত উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য কীর্তি কোনগুলি?
উঃ দিল্লির “পুরানা কিল্লা”, “কিলা-ই-কুহনা” মসজিদ ও সাসারামে নির্মিত তাঁর সমাধি মন্দির তাঁর শিল্পকীর্তির সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন।
৬২. শেরশাহের স্থাপত্য কীর্তি গুলিতে কোন কোন শিল্প রীতির সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়?
উঃ হিন্দু-পারসিক ও আরবীয় শিল্প রীতি।
৬৩. শেরশাহের মৃত্যু হয় কত খ্রিস্টাব্দে?
উঃ ১৫৪৫ খ্রিস্টাব্দে।
৬৪. শেরশাহের মৃত্যুর পর কে সিংহাসনে বসেন?
উঃ তাঁর পুত্র ইসলাম শাহ।
খুব শীঘ্রই শেরশাহ সম্পর্কিত আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর যোগ করা হবে এখানে। সম্পূর্ণ জানতে নিয়মিত ফলো করুন আমাদের ব্লগ। কোনো ভুল-ত্রুটী থাকলে বা কোনো মন্তব্য থাকলে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানান।