ভারতবর্ষে মোঘল সাম্রাজ্য

আকবর

৪৯. হুমায়ুনের পর মুঘল সাম্রাজ্যের শাসক কে হন?
উঃ আকবর।

৫০. আকবর কত তম সম্রাট ছিলেন?
উঃ তৃতীয় সম্রাট।

৫১. কত বছর বয়সে তিনি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন?
উঃ ১৩ বছর বয়সে।

৫২. আকবরের পুরো নাম কি?
উঃ জালাল উদ্দিন মহম্মদ আকবর।

৫৩. কত খ্রিস্টাব্দে কোন স্থানে আকবরের জন্ম হয়?
উঃ ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই অক্টোবর। সিন্ধু প্রদেশের অমরকোটে।

৫৪. আকবর কত দিন রাজত্ব করেছিলেন?
উঃ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে থেকে ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

৫৫. ইতিহাসে আকবর কি নামে পরিচিত?
উঃ মহামতি আকবর।

৫৬. আকবরের পিতার নাম কি?
উঃ হুমায়ুন।

৫৭. আকবরের মাতা কে ছিলেন?
উঃ হামিদা বানু বেগম।

৫৮. কত সালে আকবর সিংহাসনে বসেন?
উঃ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

৫৯. আকবরকে পাঞ্জাবের শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছিল কত খ্রিস্টাব্দে?
উঃ ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দে।

৬০. আকবরের অভিভাবক নিযুক্ত করা হয়েছিল কাকে?
উঃ বৈরাম খাঁ।

৬১. কে কত খ্রিস্টাব্দে আকবরকে দিল্লির বাদশা ঘোষণা করেন?
উঃ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। বৈরাম খাঁ।

৬২. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৫ই নভেম্বর শেরশাহের অন্যতম বংশধর আদিল শাহের হিন্দু সেনাপতি হিমু ও বৈরাম খাঁ র নেতৃত্বে আকবরের মধ্যে সংঘটিত হয় পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিমু পরাজিত হয়।

৬৩. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুরুত্ব কী ছিল?
উঃ • পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে হিমুর পরাজয়, হিমুর হিন্দু রাজ্য স্থাপনের স্বপ্ন বিলীন হয়।
• আফগান আধিপত্য স্থাপনের প্রয়াস চিরতরে ধ্বংস হয়।
• তিন দশক ধরে মুঘল আফগান যে দ্বন্দ্ব তার পরিসমাপ্তি ঘটে।
• মুঘলদের জয় লাভের ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত ভিত্তি স্থাপিত হয়।
• ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য বিস্তারের পথ উন্মুক্ত হয়।

৬৪. কত খ্রিস্টাব্দে আকবর স্বহস্তে সাম্রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করেন?
উঃ ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে।

৬৫. আকবর কোন নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন?
উঃ সাম্রাজ্যবাদী নীতি।

৬৬. পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধের পর বৈরাম খাঁ র নেতৃত্বে কোন কোন স্থান মুঘল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়?
উঃ আজমীর, গোয়ালিয়ার, জৌনপুর।

৬৭. কোন যুদ্ধে আকবরের রানী দুর্গাবতী ও পুত্র বীর নারায়ন নিহত হয়েছিল?
উঃ গন্ডোয়ানা অভিযানে।

৬৮. কত খ্রিস্টাব্দে মোগল বাহিনী গন্ডোয়ানা জয় করে?
উঃ ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে। আসাফ খাঁ র নেতৃত্বে।

৬৯. কত খ্রিস্টাব্দে আকবর চিতোর অবরোধ করেন?
উঃ ১৫৬৭ খ্রিস্টাব্দে।

৭০. গুজরাট জয়ের ফল কি হয়েছিল?
উঃ গুজরাট জয়ের ফলে মুঘল সাম্রাজ্য পশ্চিমে সমুদ্র উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং এই অঞ্চলের বন্দরগুলির মাধ্যমে মুঘলদের বহিরবাণিজ্য সমৃদ্ধতর হয়ে ওঠে। গুজরাট দখলের মাধ্যমে আকবর সর্বপ্রথম পর্তুগিজদের সংস্পর্শে আসেন। সমুদ্র উপকূলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় মুঘলরা নৌবাহিনী গড়ে তোলার সুযোগ পায় এবং গুজরাটের মধ্যে দিয়ে দাক্ষিণাত্যের দরজা মুঘলদের কাছে উন্মুক্ত হয়।

৭১. আকবর গুজরাট জয়ের স্মারক হিসেবে কোন স্থাপত্যটি নির্মাণ করেন?
উঃ বুলন্দ দরওয়াজা।

৭২. আকবরের গৃহ শিক্ষকের নাম কি?
উঃ আব্দুল লতিফ।

৭৩. আকবরের সর্বশেষ সামরিক অভিযান কোনটি?
উঃ ১৬০১ খ্রিস্টাব্দে আসিরগড় দুর্গ দখলই ছিল আকবরের শেষ অভিযান।

৭৪. আকবর ও মোগল বাহিনী দ্বারা অধিকৃত স্থান ও সাল
উঃ মালব (১৫৬১)
রণথম্বোর (১৫৬৯)
কালিঞ্জর (১৫৬৯)
বিকানের (১৫৭০)
জয়সালমীর (১৫৭০)
মাড়োয়ার (১৫৭০)
গুজরাট (১৫৭২)
সুরাট (১৫৭৩)
বাংলা (১৫৭৬)
উড়িষ্যা (১৫৯২)
কাবুল (১৫৮৫)
কাশ্মীর, সিন্ধু (১৫৯২)
বেলুচিস্তান (১৫৯৫)
কান্দাহার (১৫৯৫)
আহম্মদনগর (১৬০০)
বুরহানপুর (১৫৯৯)
আসিরগড় দুর্গ (১৬০১)

৭৫. আকবরের কেন্দ্রীয় শাসন ব্যবস্থায় মন্ত্রীগণ

  • ভকিল বা প্রধানমন্ত্রী সম্রাটের পরের স্থান।
  • দেওয়ান বা অর্থমন্ত্রী রাজস্ব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী।
  • মির বকসি সামরিক বিভাগের প্রধান।
  • কাজি-উল-কাজাৎ বা প্রধান কাজি, সম্রাটের অধীনে প্রধান বিচারক।
  • সদর-উস-সুদূর যিনি ছিলেন ধর্ম, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও দান বিভাগের অধিকর্তা।
  • মির সামান সম্রাটের গৃহ পরিচালনার ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী।
  • মুহতসিব ছিলেন জনসাধারণের মধ্যে ধর্ম ও নৈতিকতা প্রচারের ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী।
  • সুবাদার, নাজিম বা সিপাহসালার সুবার প্রধান শাসনকর্তা।

৭৬. মুঘল রাজস্ব ব্যবস্থার প্রবর্তক কে?
উঃ আকবর।

৭৭. মুঘল রাজস্ব ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক কে ছিলেন?
উঃ শেরশাহ।

৭৮. কোন কোন খাতে রাজস্ব আদায় করা হতো?
উঃ ভূমিরাজস্ব, পথকর, বনকর, জলকর, বাণিজ্য শুল্ক, জরিমানা, নজরানা প্রভৃতি।প্রধান ছিল ভূমি রাজস্ব।

৭৯. রাজস্ব সংস্কার বিষয়ে আকবরের প্রধান পরামর্শদাতা কে ছিলেন?
উঃ টোডরমল।

৮০. টোডরমল কে ছিলেন?
উঃ মুঘল আমলের একজন বিশিষ্ট রাজস্ব বিশারদ। ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে আকবর তাকে দেওয়ান-ই আসরফ বা প্রধান দেওয়ান পদে নিযুক্ত করেন।

৮১. টোডরমল ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?
উঃ ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে টোডরমল রাজস্ব সংগ্রহের নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।এই ব্যবস্থাই টোডরমল ব্যবস্থা নামে পরিচিত।

৮২. টোডরমল রাজস্ব সংগ্রহের জন্য কি কি পদ্ধতি প্রবর্তন করেন?
উঃ জাবৎ বা জাবতি বা দহসালা পদ্ধতি। গাল্লাবকস পদ্ধতি ও নাসক পদ্ধতি। ( জাবৎ বা জাবতি ব্যবস্থার জন্যই টোডরমল খ্যাতি অর্জন করেন।)

৮৩. টোডরমল কৃষি জমি গুলিকে কি কি ভাগে ভাগ করেছিলেন?
উঃ টোডরমল জমির উর্বরতা ও উৎপাদন অনুসারে কৃষি জমিকে চার ভাগে ভাগ করেছিলেন।
(ক) পোলাজ — যে জমিতে সারা বছর চাষ করা যায়।
(খ) পরৌতি — উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য যে জমি এক বা দুই বছর পতিত রাখা হয়।
(গ) চাচর — যে জমি তিন বা চার বছরের জন্য পতিত রাখা হয়।
(ঘ) বানজার — পাঁচ বছর অথবা তার থেকেও বেশি সময় ধরে যে জমি পতিত রেখে ফসল ফলানো হতো।

৮৪. জাবতি ব্যবস্থা কোন কোন স্থানে প্রচলিত ছিল?
উঃ বিহার, এলাহাবাদ, মালব, অযোধ্যা, দিল্লি, লাহোর, মুলতান রাজপুতানা অর্থাৎ উত্তর ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জাবতি ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল।

৮৫. গাল্লাবকস বা বাতাই প্রথা কি?
উঃ এই প্রথা অনুসারে উৎপন্ন ফসলের ১/৩ অংশ সরকারকে দিতে হত। এই প্রথায় জমি জরিপ হত না। সিন্ধুদেশ, কাশ্মীর, কান্দাহার ও কাবুলের কিছু অংশে প্রথা প্রচলিত ছিল

৮৬. নাসক প্রথা কোন কোন স্থানে চালু ছিল?
উঃ কাথিয়াওয়াড়, গুজরাট ও বাংলাদেশ।

৮৭. প্রদেশ গুলিতে রাজস্ব আদায়ের কাজ করতেন কারা?
উঃ আমিন, পোদ্দার, কানুনগো মুকাদ্দাম ও পাটোয়ারী।

৮৮. সাম্রাজ্যের সর্ব প্রধান বিচারক কে ছিলেন?
উঃ সম্রাট

৮৯. মৃত্যুদন্ড প্রদানের অধিকারী কে ছিলেন?
উঃ সম্রাট।

৯০. মনসব প্রথা কি?
উঃ মনসব কথাটির অর্থ পদমর্যাদা। যিনি এই পদমর্যাদার অধিকারী ছিলেন তাকে বলা হতো মনসবদার। সামরিক ও বেসামরিক কাঠামোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য আকবর ১৫৭৭ খ্রিস্টাব্দে মনসব প্রথার প্রবর্তন করেছিলেন। মনসবদাররা ৩৩ টি স্তরে বিভক্ত ছিলেন। এই প্রথা অনুসারে প্রত্যেক মনসবদারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সেনা ও ঘোড়া রাখতে হতো এবং তাদের পদমর্যাদা অনুসারে তাদের বেতন স্থির হতো। মনসবদাররা ১০ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত যেকোনো পরিমাণ সৈন্যের মনসবদার হতে পারতেন। রাজ পরিবারের লোকেরা ১০ হাজার পর্যন্ত মনসব পেতেন। যুদ্ধকালে সম্রাট কে রইল পাঠাতে বাধ্য ছিল মনসবদাররা মনসবদারদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, অপসারণ সবকিছুই সম্রাট এর ইচ্ছার উপর নির্ভর করত। উত্তরাধিকার সূত্রে কেউ মনসবদারি পেতেন না। কার্যনিপুণতার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হতো।

৯১. শাসনকার্যের সুবিধার জন্য আক বার সাম্রাজ্যেকে কটি সুবায় বিভক্ত করেন?
উঃ ১৫ টি।

৯২. ইবাদৎখানা কে, কোথায় ও কেন নির্মাণ করেন?
উঃ ১৫৭৫ খ্রিস্টাব্দে আকবর ফতেপুর সিক্রিতে ইবাদতখানা নামে এক উপাসনা গৃহ নির্মাণ করেন। ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনার জন্য। বিভিন্ন ধর্মের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিদের এখানে ধর্ম আলোচনা জন্য তিনি আমন্ত্রণ জানাতেন। তার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ধর্মতত্ত্বের আলোচনার মাধ্যমে ধর্মের স্বরূপ উপলব্ধি করা।

৯৩. অভ্রান্ত নির্দেশনামা কি?
উঃ ১৫৭৯ খ্রিস্টাব্দে আকবর ফতেপুর সিক্রির মসজিদের ইমামকে সরিয়ে দিয়ে নিজে উপাসনা পরিচালনা করতে শুরু করেন এবং এক ‘মাজাহার’ বা ‘নির্দেশনামা’ জারি করে বলেন যে তিনিই হলেন ‘ইমাম-ই-আদিল’ অর্থাৎ ইসলামিক আইনের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকার এবং সাম্রাজ্যের সর্বপ্রকার জাগতিক ও ধর্মীয় বিষয়ের প্রধান। তিনি জানান যে, ইসলাম ধর্ম ও কোরানের কোনও ব্যাখ্যা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিলে সম্রাটের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। ডক্টর স্মিথ এই ঘোষণা পত্রটিকে “অভ্রান্ত নির্দেশনামা” বলে অভিহিত করেছেন।

৯৪. দীন-ই-ইলাহী কি?
উঃ ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে আকবর দীন-ই-ইলাহী নামে এক নতুন একেশ্বরবাদী ধর্ম মতের প্রবর্তন করেছিলেন। সকল ধর্মের সারবস্তু নিয়ে এই ধর্মমত গঠিত এবং এই ধর্ম মতে কোন সাম্প্রদায়িকতা, অন্ধ বিশ্বাস, দেবতা, দেব-মন্দির, পুরোহিত বা ধর্মগ্রন্থের কোন স্থান ছিল না। স্বয়ং সম্রাটই ছিলেন এর প্রবক্তা এবং যে কোন মানুষ এই ধর্মমত গ্রহণ করতে পারতেন। ব্যক্তিগত জীবনে পবিত্রতা ও উদারতার উপর এই ধর্ম মতের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।

৯৫. আকবরের রাজসভায় নবরত্ন নামে পরিচিত ছিলেন কারা?
উঃ বিদ্যা ও বিদ্বানের পৃষ্ঠপোষক আকবরের রাজসভায় একাধিক জ্ঞানী গুণীর সমাবেশ ঘটেছিল। “আকবরনামা” ও “আইন-ই-আকবরী” গ্রন্থের রচয়িতা ও ঐতিহাসিক ও আকবরের প্রধানমন্ত্রী আবুল ফজল, হাস্যরসিক ও আকবরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বীরবল, হস্তলিপি শিল্পী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আব্দুল রহিম খান, কবি ও শিক্ষা মন্ত্রী ফইজি, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ফকির আজিওউদ্দিন, গৃহমন্ত্রী মোল্লা-দো-পিঁয়াজা,অর্থমন্ত্রী টোডরমল, সেনাপতি মানসিংহ, সঙ্গীতজ্ঞ ও সংস্কৃতি মন্ত্রী তানসেন, এঁরা সবাই আকবরের রাজসভার অলংকৃত করেছিলেন।এইসব জ্ঞানী ব্যক্তিরা “নবরত্ন” বা “নওরতন” নামে পরিচিত।

৯৬. আকবরের আমলে কোন কোন স্থাপত্য গুলি করে উঠেছিল?
উঃ ফতেপুর সিক্রি, সেলিম চিস্তির সমাধি, দেওয়ান-ই-আম, দেওয়ান-ই-খাস, জামি মসজিদ, বুলন্দ দরওয়াজা, হুমায়ুনের সমাধি, সেকেন্দার সমাধি ভবন প্রভৃতি।

৯৭. ধর্ম ও দর্শন এর মূল বিষয় গুলি আলোচনার জন্য আকবর ১৭৭৫ সালে কোথায় ইবাদতখানা নির্মাণ করেছিলেন?
উঃ ফতেপুর সিক্রিতে।

৯৮. মুঘল সম্রাট আকবর কে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক বলে কে অভিহিত করেছেন?
উঃ জহরলাল নেহেরু।

৯৯. কত সালে আকবার মাহজার ডিক্রি জারি করেন?
উঃ ১৫৭৯ সালে।

১০০. ‘সুল-হি-কুল’ ও ‘দিন-ই- ইলাহী’ মতবাদের প্রবক্তা কে?
উঃ আকবর।

১০১. আকবরনামার ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কে?
উঃ হেনরি বেভারিজ।

১০২. আইন-ই-আকবরীর বিষয়বস্তু কি?
উঃ আকবরের প্রশাসনের বর্ণনা।

১০৩. বুলন্দ দরজা কোথায় অবস্থিত?
উঃ ফতেপুর সিক্রিতে। (উত্তর প্রদেশের আগ্রা জেলায় )

১০৪. কত সালে বুলান্দ দরওয়াজা নির্মিত হয়?
উঃ ১৬০১ খ্রিস্টাব্দে।

১০৫. আকবর তাঁর রাজধানী ফতেপুর সিক্রি থেকে কোথায় স্থানান্তরিত করেন?
উঃ লাহোর।

১০৬. কত খ্রিস্টাব্দে আকবর জিজিয়া কর বাতিল করেন?
উঃ ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

১০৭. আকবর কাকে খান-ই-খান্না উপাধি দেন?
উঃ আব্দুল রহিম।

১০৮. রাজা ও দেওয়ান-ই-আসফ উপাধি আকবর কাকে প্রদান করেন?
উঃ টোডরমল।

১০৯. আকবরের সময় শ্রেষ্ঠ সংগীতকার কেন ছিলেন?
উঃ তানসেন।

১১০. বীরবলের প্রকৃত নাম কি?
উঃ মহেশ দাস।

১১১. কেন লীলাবতী ফার্সিতে অনুবাদ করেন?
উঃ ফইজি।

১১২. আকবরের প্রধানমন্ত্রী কেন ছিলেন?
উঃ আবুল ফজল।

১১৩. আকবরের নতুন ধর্মমত ‘দীন-ই-ইলাহী’ কারা গ্রহণ করেছিলেন?
উঃ বীরবল, আবুল ফজল ও ফইজি।

১১৪. কোন মোঘল সম্রাটের শাসনকালে ইংল্যান্ড এ ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ আকবর

১১৫. হলদিঘাটের যুদ্ধ কত খ্রি: কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উঃ ১৫৭৬ খ্রি: আকবরের সেনাপতি মানসিংহ ও আসিফ খানের নেতৃত্বে রানা প্রতাপ সিংহের মধ্যে হয় হলদিঘাটের যুদ্ধ।

১১৬. আকবর কোন দেশের অনুকরণে মনসব প্রথার প্রচলন করেন?
উঃ পারস্য দেশের অনুকরণে।

১১৭. জাবতি প্রথা কি?
উঃ এই প্রথায় জমি জরিপ করে জমির উৎপাদিকা শক্তি অনুযায়ী, ভূমি রাজস্ব নির্ধারণ করা হয়।

১১৮. গ্রাম স্তরে কারা রাজস্ব আদায় করত?
উঃ পাটোয়ারী।

১১৯. পরগনা স্তরে কারা রাজস্ব আদায় করত?
উঃ কানুনগো।

১২০. আকবর কাদের কাছ থেকে “সুলহ-ই-কুল” বা সকল ধর্ম সমন্বয়ের শিক্ষা নেন?
উঃ আব্দুল লতিফ ও পারসিক শিক্ষক পীর মহম্মদের কাছ থেকে।

১২১. ইবাদাৎ খানাকে “ফার্স্ট ওয়াল্ড রিলিজিয়াস পার্লামেন্ট” বলে অভিহিত করেছেন কে?
উঃ ভিন্টসেন্ট স্মিথ।

১২২. কত খ্রিস্টাব্দে আকবর হিন্দুদের উপর থেকে তীর্থ কর এবং জিজিয়া কর তুলে দেন?
উঃ ১৫৬৩ খ্রিস্টাব্দ ও ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দ।

১২৩. রামচরিত মানস গ্রন্থের লেখক কে ?
উঃ তুলসী দাস।

১২৪. বাবরনামা তুর্কি ভাষায় অনুবাদ করেন কে?
উঃ আব্দুল রহিম।

১২৫. সুর সাগর গ্রন্থের রচয়িতা কে?
উঃ সুরদাস।

১২৬. ফারসিতে রামায়ণ অনুবাদ করেন কে?
উঃ আব্দুল কাদের বদাউনি।

১২৭. আকবরের আমলে ফার্সি সাহিত্যের প্রধান কেন্দ্র কোনটি ছিল?
উঃ আগ্রা।

১২৮. লীলাবতী গ্রন্থকে ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন কে?
উঃ ফইজি।

১২৯. তানসেনের আসল নাম কি?
উঃ রামতনু পান্ডে।

১৩০. আকবর কাকে রাজা উপাধি দিয়েছিলেন?
উঃ বীরবল কে।

১৩১. কত খ্রি: আকবরের মৃত্যু হয়?
উঃ ১৫০৫ খ্রিস্টাব্দে ২৭ শে অক্টোবর (ফতেপুর সিক্রি, আগ্রা )।

১৩২. আকবরের সমাধি কোথায় অবস্থিত? এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন কে?
উঃ সিকান্দ্রা, আগ্রা। জাহাঙ্গীর।

১৩৩. আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় কোন কোন সংস্কৃত গ্রন্থ ফার্সি ভাষায় অনূদিত হয়?
উঃ রামায়ণ, মহাভারত, অথর্ববেদ ও লীলাবতী।

১৩৪. আকবরের রাজত্বকালের কোন সময়কালকে অন্ত:পুরিকার শাসনকাল বলা হয়?
উঃ ১৫৬০-৬৪ খ্রি: সময় কালকে।

১৩৫. কোন ঐতিহাসিক ১৫৬০-৬৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময় কালকে অন্তঃপুরিকার শাসনকাল হিসেবে অভিহিত করেছেন?
উঃ ঐতিহাসিক ভিনসেন্ট স্মিথ।

১৩৬. কোন রাজপুত শাসক বিনা যুদ্ধে আকবরের বশ্যতা স্বীকার করেন?
উঃ জয়পুরের রাজা বিহারী মল (১৫৬২ খ্রি:)।

১৩৭. আকবার যখন চিতোর অধিকার করেন তখন মেবারের শাসক কে ছিলেন?
উঃ উদয় সিংহ (১৫৬৭ খ্রিস্টাব্দ )।

১৩৮. কাকে পরাস্ত করে আকবর গুজরাট অধিকার করেছিলেন?
উঃ তৃতীয় মুজফফর খান কে

১৩৯. নাবালক রাজা বীর নারায়ন ও তার মাতা রানী দুর্গাবতীকে পরাজিত করে আকবার কোন রাজ্যটি অধিকার করেছিলেন?
উঃ গন্ডোয়ানা (১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দ)।

১৪০. আবুল ফজল কে?
উঃ আকবরের অন্তরঙ্গ সচিব ও সভাসদ। জ্ঞানী লেখক হিসেবে তিনি প্রখ্যাত। আকবরের উদার রাষ্ট্রনীতি ও ধর্মনীতির ক্ষেত্রে আবুল ফজলের বিশেষ প্রভাব ছিল। আকবরের নির্দেশ নামা ও তার সাম্রাজ্যের পরিসংখ্যান নিয়ে তিনি রচনা করেছিলেন “আইন-ই-আকবরী” এবং আকবরের রাজত্বকালে ভারতের প্রামাণ্য বিবরণী “আকবরনামা”। ১৬০২ খ্রিস্টাব্দে যুবরাজ সেলিমের প্ররোচনায় তিনি নিহত হন।

১৪১. আকবরের তিন পুত্রের নাম কি?
উঃ সেলিম, মুরাদ ও দানিয়েল।

১৪২. আকবর কাকে কবি প্রিয় উপাধি দিয়েছিলেন?
উঃ বীরবল কে।

১৪৩. দিন-ই-ইলাহী কারা গ্রহণ করেছিলেন?
উঃ বীরবল ও আবুল ফজল।

১৪৪. হিন্দু সমাজের কোন দুই কুসংস্কার নিবারণের প্রয়াস করেন আকবর?
উঃ সতীদাহ ও বাল্যবিবাহ প্রথা

১৪৫. ইবাদত খানার ধর্মালোচনায় অংশগ্রহণকারী দুইজন হিন্দু পন্ডিতের নাম কি?
উঃ দেবী ও পুরুষোত্তম।

Sharing Is Caring:

Leave a Comment