নমস্কার বন্ধুরা, আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল বৌদ্ধ ধর্ম ও গৌতম বুদ্ধ । খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক ভারতে ধর্মীয় আলোড়নের যুগ হিসেবে চিহ্নিত। বৌদ্ধ গ্রন্থ অনুসারে এই যুগে ভারতে ৬৩টি প্রতিবাদী ধর্মের উত্থান হয়েছিল। এই ৬৩ ধর্মমতের মধ্যে জৈন ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্ম ছিল উল্লেখযোগ্য। আজ আমরা এই অধ্যায়ে বৌদ্ধ ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধের জীবন, সন্ন্যাস, তাঁর প্রবর্তিত নীতি, বৌদ্ধ সংগীতি গুলি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করব। ইতিহাসের পাতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। স্কুল, কলেজ ও যে কোনো প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষায় এই অধ্যায় থেকে প্রশ্ন এসে থাকে।তাই আর দেরি না করে দেখে নাও আজকের আলোচনা……..
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান
• আনুমানিক ৫৬৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে হিমালয়ের পাদদেশে নেপালের তরাই অঞ্চলে কপিলাবস্তুর কাছে লুম্বিনী উদ্যানে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধদেবের জন্ম হয়। বাল্য নাম ছিল সিদ্ধার্থ। বাল্যকাল থেকেই বিমাতা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাঁকে লালন পালন করেন এজন্য তার নাম হয় গৌতম |
গৌতম বুদ্ধের বংশ পরিচয়
• গৌতম বুদ্ধের পিতার নাম শুদ্ধোধন।
• মাতা ছিলেন দেবদহের রাজকন্যা মায়াদেবী।
• পত্নী ছিলেন গোপা (যশোধরা)।
• গৌতম বুদ্ধের পুত্রের নাম রাহুল।
গৌতম বুদ্ধের সাধনা লাভ
• গয়ার নিকটবর্তী উরুবিল্ব নামক স্থানে নৈরঞ্জনা নদীর তীরে এক অশ্বত্থ বৃক্ষের নিচে তিনি গভীর ধ্যানে মগ্ন হন। দীর্ঘ এক মাস ধানের পর ৩৫ বছর বয়সে তিনি বোধি, সম্বোধি বা দিব্যজ্ঞান লাভ করেন।
মহাভিনিষ্ক্রমণ কি?
মহাভিনিষ্ক্রমণ হল জাগতিক দুঃখ ও বেদনা থেকে প্রকৃত মুক্তির পথ খুঁজে বের করার জন্য গৌতম রাজপ্রাসাদের ভোগ-বিলাস ত্যাগ করে সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।এজন্য একদিন গভীর নিশিথে সবার অগোচরে তিনি গৃহত্যাগ করেন। বৌদ্ধ শাস্ত্রে এই ঘটনাই ‘মহাভিনিষ্ক্রমণ‘ নামে খ্যাত।
গৌতম বুদ্ধের ধর্মচক্র প্রবর্তন
ধর্মচক্র প্রবর্তন— বোধি লাভের পর গৌতম সারনাথের মৃগদাব উপবনে পঞ্চভিক্ষু নামে পাঁচজন শিষ্য-এর( বপ্য, ভদ্রিয়, অশ্বজিৎ মহানাম ও কৌন্ডিন্য) কাছে তিনি তাঁর ধর্ম প্রচার করেন। এই ঘটনা ‘ধর্মচক্র প্রবর্তন‘ নামে খ্যাত।
গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ
মহাপরিনির্বাণ— এক বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে গৌতম বুদ্ধের যে মহাজীবনের সূচনা হয়েছিল ৮০ বছর পর আর এক বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে তার অবসান ঘটে। এই ঘটনা ‘মহাপরিনির্বাণ‘ নামে খ্যাত।
গৌতম বুদ্ধের চারটি আর্যসত্য কী কী
আর্যসত্য— বৌদ্ধধর্ম চারটি মূল সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। এগুলি হল (১)জগৎ দুঃখময় (২)কামনা বাসনা তৃষ্ণা ও আসক্তিই হল দুঃখের কারণ। (৩)দুঃখের কারণগুলি ধ্বংস করে দুঃখের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।(৪) এই কারণগুলির ধ্বংসের জন্য সঠিক মার্গ বা পথ অনুসরণ করতে হবে।এই চারটি সত্যকেই ‘আর্য সত্য‘ বলে।
বৌদ্ধ ধর্মের ৮টি অষ্টাঙ্গিক মার্গ
অষ্টাঙ্গিক মার্গ-— কামনা, বাসনা ও আসক্তি বিনাশ-এর জন্য গৌতম বুদ্ধ যে আটটি পথের কথা বলেছে সেগুলোকেই ‘অষ্টাঙ্গিক মার্গ‘ বলা হয়। এগুলি হল- (১)সৎ বাক্য (২)সৎ কার্য (৩)সৎ জীবন (৪) সৎ চেষ্টা (৫)সৎ চিন্তা (৬)সৎ সংকল্প (৭)সৎ দৃষ্টি ও (৮)সৎ সমাধি।
মঝঝিম পন্থা
মঝঝিম পন্থা— ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে গৌতম বুদ্ধ অত্যাধিক ভোগবিলাস কিংবা অত্যাধিক কৃচ্ছসাধন এই দুই চরমপন্থাকে পরিত্যাগ করে মাঝামাঝি পথ অনুসরণ করাকে শ্রেষ্ঠ পথ বলে মনে করতেন। একেই ‘মঝঝিম পন্থা‘ বলা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক
• বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থের নাম হল ত্রিপিটক । ত্রিপিটক কথার অর্থ হল পাত্র বা ঝুড়ি। এই ত্রিপিটক তিন ভাগে বিভক্ত –
(১) সুত্ত পিটক— এই পিটকে বুদ্ধ-র উপদেশাবলী আলোচিত হয়েছে।
(২) বিনয় পিটক— এখানে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভিক্ষুনীদের পালনীয় বিধিসমূহ ও সংঘের নিয়মাবলী আলোচিত হয়েছে ।
(৩) অভিধর্ম পিটক— এখানে বৌদ্ধ ধর্মের দার্শনিক তত্ত্বসমূহ আলোচিত হয়েছে।
বৌদ্ধ সংগীতি
বৌদ্ধ সংগীতি
• প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি— (১) ৪৮৩ অব্দে মগধ-রাজ অজাতশত্রুর উদ্যোগে বৌদ্ধ দেবের শিষ্যরা মগধের রাজধানী রাজগৃহে যে সম্মেলন করেন সেটিই ছিল প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি।
(২) সভাপতি ছিলেন মহাকাশ্যপ।
(৩) বুদ্ধদেবের উপদেশগুলোকে পুস্তক আকারে প্রকাশ করা হয়।
(৪) আনন্দ সূত্র পিটক এবং উপালি বিনয় পিটক সংকলন করেন।
দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি— (১) ৩৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মগধ রাজ কালাশোকের উদ্যোগে বৈশালীতে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি।
(২) সভাপতি ছিলেন সাবাকামি।
(৩) এই সম্মেলনে পূর্ব ভারতের বৌদ্ধরা মহাসংঘিকা বা আচার্যবাদ নামে পরিচিত হয়।
(৪) পশ্চিম ভারতের বৌদ্ধরা থেরাবাদ নামে পরিচিত হয়।
তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি— (১) ২৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সম্রাট অশোকের উদ্যোগে পাটালিপুত্রে তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়।
(২) সভাপতিত্ব করেন মোগলিপুত্ত তিষ্যা।
(৩) অভিধর্ম পিটক সংকলিত হয়।
(৪) ত্রিপিটক ধর্মগ্রন্থকে নতুনভাবে রচনা করা হয়।
(৫) এই সম্মেলনেই গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে ভারত ও বহির ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের জন্য প্রচারক পাঠানো হয়।
চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি— (১) ৭২ খ্রিস্টাব্দে কনিষ্কের আমলে কাশ্মীরে চতুর্থ ও শেষ বৌদ্ধ সংগীতি অনুষ্ঠিত হয়।
(২) সভাপতিত্ব করেন বসুমিত্র।
(৩) এই সম্মেলনে বৌদ্ধ ধর্ম হীনযান ও মহাযান এই দুটি সম্প্রদায় বিভক্ত হয়ে পড়ে।
পঞ্চশীল নীতি
• গৌতম বুদ্ধ তাঁর অনুগামীদের মধ্যে পাঁচটি ‘শীল বা নৈতিক বিধি অনুসরণ-এর ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এগুলি হল-(১)জীব হিংসা পরিহার করা। (২)চুরি না করা। (৩)অন্যায় না করা। (৪)ব্যভিচারী না হওয়া ও (৫)অসত্য না বলা।এই পাঁচটি নীতিকেই ‘পঞ্চশীল নীতি’ বলা হয়।
বৌদ্ধ ধর্মে হীনযান ও মহাযান বলতে কী বোঝায়?
• বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দুটি সম্প্রদায় ছিল যাদের নাম হল মহাযান ও হীনযান সম্প্রদায়।
হীনযান
হীনযান :- বৌদ্ধদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন গোঁড়া অর্থাৎ বুদ্ধনির্দেশিত অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণের মাধ্যমে নির্বাণ লাভ সম্ভব বলে বিশ্বাস করতেন, যাঁরা বুদ্ধের মূর্তি পূজা করতেন না, যাঁরা মনে করতেন নিজের মুক্তি নিজেকেই অর্জন করতে হয়,তাদের উপাসনা পদ্ধতির নাম হীনযান।
মহাযান
মহাযান :- যে সম্প্রদায়েরা বিশ্বাস করতেন ভগবান বুদ্ধই সমস্ত মুক্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। যাঁরা বুদ্ধের মূর্তি গড়ে তাকে দেবতার মত পূজা করতেন ও পূজা ও ভক্তিকে মুক্তির উপায় বলে মনে করতেন। তাঁরা মহাযান নামে পরিচিত।
বৌদ্ধ ধর্ম ও গৌতম বুদ্ধ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
১. বোধি লাভের পর গৌতম এর নাম কি হয়?
উঃ বুদ্ধ বা জ্ঞানী, তথাগত বা যিনি পরম জ্ঞানের সন্ধান পেয়েছেন।
২. বোধগয়া বা বুদ্ধগয়া কি?
উঃ গৌতম বুদ্ধ যে স্থানে বুদ্ধত্ব লাভ করেন তার নাম বোধগয়া বা বুদ্ধগয়া।
৩. গৌতম বুদ্ধ যে বৃক্ষটির নিচে ধ্যানরত হয়ে বুদ্ধত্ব অর্জন করেন তার নাম কি?
উঃ বোধি বৃক্ষ বা বৌদ্ধ্রুম।
৪. গৌতম বুদ্ধের ধর্ম প্রচারের মাধ্যম কি ছিল?
উঃ লোকভাষা মাগধী প্রাকৃত।
৫. বুদ্ধদেবের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন কারা?
উঃ মগধরাজ বিম্বিসার, কোশল রাজ প্রসেনজিৎ ও তার মহিষী মল্লিকা।
৬. গৌতম বুদ্ধের জীবনী গ্রন্থের নাম কি?
উঃ মহাবস্তু।
৭. জাতক কি?
উঃ গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জীবনের কাহিনী সম্বলিত রচনা ‘জাতক’ নামে পরিচিত।
৮. কত খ্রিস্টাব্দে গৌতম বুদ্ধের জীবন অবসান ঘটে?
উঃ ৪৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ৮০ বছর বয়সে মল্ল রাজ্যের রাজধানী কুশীনগরে( উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলার কাশিয়া ) তিনি দেহত্যাগ করেন।
৯. গৌতম বুদ্ধের ধর্মের মূল লক্ষ্য কি ছিল?
উঃ মানুষকে দুঃখ থেকে নিবৃত্তি লাভের উপায় সম্পর্কে সন্ধান দেওয়া।
১০. বুদ্ধদেব কোন ভাষায় তাঁর উপদেশ দান করতেন?
উঃ পালি ভাষায়।
১১. বৌদ্ধদের ধর্মগ্রন্থের নাম কি?
উঃ ত্রিপিটক।
১২. পিটক কথার অর্থ কি?
উঃ পাত্র বা ঝুড়ি।
১৩. কোন গ্রন্থ দুটিতে বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে?
উঃ সিংহলী গ্রন্থ মহাবংশ ও দীপবংশ।
১৪. সংঘ অপরিহার্য কোন ধর্মে ?
উঃ বৌদ্ধ ধর্মে।
১৫. কোন উল্লেখযোগ্য বৌদ্ধ মঠ গুলি শিক্ষার পীঠস্থান ছিল?
উঃ নালন্দা, বিক্রমশিলা ও বলভী।
১৬. কোন গ্রন্থ গুলি থেকে বুদ্ধদেবের জীবনের তথ্যাদি জানা যায়?
উঃ সুত্ত নিপাত,জাতক, মহাবংশ, দীপবংশ এবং সংস্কৃত গ্রন্থ ললিতবিস্তার ও অশ্বঘোষ রচিত বুদ্ধচরিত।
১৭. বুদ্ধদেবের জন্ম কোথায় হয়?
উঃ কপিলাবস্তুর কাছে লুম্বিনী উদ্যানে।
১৮. কত বছর বয়সে তিনি দিব্য জ্ঞান লাভ করেন?
উঃ ৩৫ বছর বয়সে।
১৯. কোন গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর মর্মস্পর্শী বিবরণ আছে?
উঃ ‘মহাপরিনির্বাণ সুত্ত ‘।
২০. ত্রিপিটক পুস্তক আকারে প্রকাশ করা হয় কোন বৌদ্ধ সংগীতিতে?
উঃ প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি।
২১. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ রাজগৃহের কাছে সপ্তপর্ণী গুহায়।
২২. গৌতম বুদ্ধের অপর নাম গুলি কি? বা গৌতম বুদ্ধ অপর কি নামে পরিচিত?
উঃ শাক্যমুনি,সিদ্ধার্থ গৌতম, সাক্যসিংহ, বৌদ্ধ ও গোতম।
২৩. গৌতম বুদ্ধের প্রকৃত নাম ও বাল্যনাম কি ছিল?
উঃ সিদ্ধার্থ।
২৪. গৌতম বুদ্ধের পূর্ব জন্মের নাম কি ছিল?
উঃ বোধিসত্ত্ব।
২৫. ‘এশিয়ার আলো’ নামে পরিচিত কে?
উঃ গৌতম বুদ্ধ।
২৬. গৌতম বুদ্ধের পুত্রের নাম কি?
উঃ রাহুল।
২৭. বুদ্ধ কথাটির অর্থ কি?
উঃ যিনি পরম শাশ্বতবোধ বা জ্ঞানলাভ করেছেন।
২৮. গৌতম বুদ্ধ তার বাণী প্রথম কোথায় প্রচার করেছিলেন?
উঃ সারনাথ।
২৯. গৌতম বুদ্ধ কোন নদীর তীরে বোধি লাভ করেন?
উঃ নিরঞ্জনা নদী।
৩০. গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ছিলেন মগধের কোন শাসক?
উঃ বিম্বিসার।
৩১. বোধগবার পূর্ব নাম কি?
উঃ উরু বিল্ব।
৩২. কোন সম্রাট সর্বপ্রথম বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন?
উঃ বিম্বিসার।
৩৩. বসুবন্ধুর লেখা বৌদ্ধ ধর্মের বিশ্বকোষের নাম কি?
উঃ অভিধামাকোষা।
৩৪. গৌতম বুদ্ধ কোথায় নির্বাণ লাভ করেন?
উঃ বোধগয়া।
৩৫. গৌতম বুদ্ধ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উঃ নেপালে লুম্বিনী উদ্যানে।
৩৬. তিনি কোন বংশে জন্মগ্রহণ করেন?
উঃ সাক্য ক্ষত্রিয় বংশে।
৩৭. বুদ্ধের প্রধান দুই শিষ্য কে ছিলেন?
উঃ সারিপুও ও মৌদগল্যায়ন।
৩৮. গৌতম বুদ্ধের জীবনী গ্রন্থ গুলি কি কি?
উঃ ত্রিপিটকে বুদ্ধবংস নামক গ্রন্থ, অশ্বঘোষ রচিত বুদ্ধচরিত, ললিতবিস্তার সূত্র, মহাবস্তু গ্রন্থ, অভিনষ্ক্রমণ সূত্র, বুদ্ধঘোষ রচিত নিদানকথা, পদ্যচূড়ামণি গ্রন্থ ও জাতক।
৩৯. বুদ্ধের প্রথম পূর্ণ জীবনী গ্রন্থ কোনটি?
উঃ অশ্বঘোষ রচিত বুদ্ধচরিত।
৪০. গৌতম বুদ্ধ যখন গৃহত্যাগ করেন তখন তাঁর সাথে ছিল তাঁর প্রিয় সারথি এবং অশ্ব। এঁদের নাম কি?
উঃ সারথী হলেন ছন্ন এবং অশ্বের নাম হল কন্থক।
৪১. গৌতম বুদ্ধ প্রথম কার নিকট যোগশিক্ষা লাভ করেন?
উঃ আলার কালাম।
৪২. কোন সন্ন্যাসীর নিকট তিনি প্রথম শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন?
উঃ উদ্দক রামপুত্ত।
৪৩. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি কে ছিলেন?
উঃ মোগলিপুত্ত তিষ্যা।
৪৪. দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি কে ছিলেন?
উঃ সাবকামি।
৪৫. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি কে ছিলেন?
উঃ মহাকাশ্যপ।
৪৬. চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতির সভাপতি কে ছিলেন?
উঃ বসুমিত্র।
৪৭. প্রথম বৌদ্ধ সংগীতি কার আমলে অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ অজাতশত্রু।
৪৮. দ্বিতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কার আমলে অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ কালাশোক।
৪৯. তৃতীয় বৌদ্ধ সংগীতি কার আমলে অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ সম্রাট অশোক।
৫০. চতুর্থ বৌদ্ধ সংগীতি কার আমলে অনুষ্ঠিত হয়?
উঃ সম্রাট কনিষ্ক।
৫১. গৌতম বুদ্ধের প্রথম গুরুর নাম কি?
উঃ অসিত।
৫২. কোন তিথিতে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন?
উঃ বৈশাখী পূর্ণিমা।
৫৩. সিদ্ধার্থের বিমাতার নাম কি?
উঃ মহাপ্রজাপতি গৌতমী।
৫৪. গৌতম বুদ্ধের প্রথম বিদ্যা শিক্ষা শুরু হয় কার কাছে?
উঃ ব্রাহ্মণপুত্র বিশ্বামিত্রের কাছে।
৫৫. গৌতম বুদ্ধকে কে পায়ের দান করেছিলেন?
উঃ সুজাতা নামে এক গ্রামের গৃহবধূ।
৫৬. বুদ্ধদেব সুদীর্ঘ কত বছর ধরে ধর্ম প্রচার করেন?
উঃ ৪৫ বছর।